লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান নৌ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোঃ তোফায়েল আহমেদ। তিনি গণমাধ‍্যমকে বলেন, ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন প্রথমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আরো আনুষঙ্গিক জিনিসের সঙ্গে লেগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে যা তদন্ত দলের টেকনিক্যাল ব‍্যক্তি দ্বারা পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ‍্যমে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে।

আজ রবিবার বরগুনা সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে এম ভি অভিযান ১০ লঞ্চে রাত ৩টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নি দুর্ঘটনায় কবলিত হতাহতের ও সঠিক ভাবে ঘটনা অনুসন্ধান করার ৭ সদস‍্য বিশিষ্ট দলের চার সদস‍্য দলের প্রতিনিধি দল বরগুনার গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোঃ তোফায়েল উদ্দিন আহমেদ।

এম ভি অভিযান লঞ্চের দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের গন শুনানি অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কফিল উদ্দিন, ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ নাজমুল আলম, মোঃ কামাল উদ্দিন ভুইয়া উপ পরিচালক ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স।

মোঃ তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, লঞ্চে আগুন লাগার সময় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি কতটুকু সেই জন‍্যই আমরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে সঠিক তথ‍্য পাবার চেষ্টা করছি। লঞ্চের ষ্টাফদের কে খুজে বের করে যদি জেরা করতে পারি তাহলে সঠিক তথ‍্য বের হয়ে আসবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ তারিখে আর আমরা ঝালকাঠি এসেছি ২৪ তারিখে তাই আমরা জানতে পারিনি লঞ্চ ছাড়ার আগে কতটুকু পরীক্ষা নিরিক্ষা করে লঞ্চ ছাড়ার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আমরা মাঠে কাজ করছি এখন। লঞ্চের টেকনিক্যাল বিষয়গুলি আমরা গতকাল দেখেছি। আমরা সব বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে অনুসন্ধান করছি। ঢাকায় গিয়ে আমরা আলোচনা পর্যালোচনা করে রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করবো।